৭মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
হোসেন বাবলা,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ৭মার্চ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উদ্যোগে ৭মার্চ ২০২২ সোমবার সকালে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সাড়ে ৯টায় পরিচালক কার্যালয়ের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক স্বাস্থ্য ও সিভিল সার্জন। সকাল ১০টায় পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে ঐতিহাসিক ৭মার্চ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ শাখাওয়াত উল্লাহ, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ আবদুর রব, স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়া ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া। সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বপ্নে বিভোর করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রেখেছে। এই ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাদায়ে সেই ভাষণ বাঙালি জাতির কাছে সব সময়ই বিশেষ কিছু। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্ব ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করে ভাষণটিকে। সংস্থাটি বিশ্বের ৭৮টি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথি ও বক্তৃতার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণও অন্তর্ভুক্ত করে। এর পর সরকারিভাবে দিবসটি আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয়। বক্তারা ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ