বগুড়ায় গরুচোর সন্দেহে এক জনকে পিটিয়ে হত্যা গ্রেফতার দুই
বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে উজ্জ্বল হোসেন(৩৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মূলত গরু চোর সন্দেহে উজ্জ্বলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নন্দীগ্রামের শেখের মরিয়া গ্রামের মৃত মুসাদ হাজির ছেলে আলী হাসান(২৮) এবং অপরজন একই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সাইদুল ইসলাম সাহাদ ওরফে সাইদ(৪০)।বুধবার ভোর পৌণে ৪টার দিকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজন বুধবার বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বগুড়ার পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন। পুলিশ সুপার জানান, গত ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রাম উপজেলার ভরতেতুলিয়া রায়পাড়া গ্রামের মৃত লোকমান কাজীর ছেলে উজ্জ্বলের লাশ শেখের মরিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় উজ্জ্বলের দুই পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত রক্তাক্ত থেঁতলানো ও বুক-কাঁধে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা জহুরা বেওয়া নন্দীগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন প্রথমে মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরবর্তীতে বাদী নারাজী জানালে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত শুরু করে পিবিআই।

পরে গত বুধবার ভোর পৌণে ৪টার দিকে উজ্জ্বল হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলী হাসান ও সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পিবিআই। বুধবার উজ্জ্বল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আলী হাসান ও সাইদুল ইসলাম সাহাদকে আটক করেন তদন্ত কর্মকর্তা। গ্রেফতারের পর তারা জানান, রাতে উজ্জ্বল শেখের মরিয়া গ্রামে ঘুরাফেরা করছিলেন। তার এ ঘুরাফেরা সন্দেহ মনে হলে আলী হাসান ও সাইদুল ইসলাম তাকে ধাওয়া করে। এসময় উজ্জ্বল পালানোর চেষ্টা করলে তাদের হাতে ধরা পড়ে। ধরা পরার পর আলী হাসান ও সাইদুল ইসলামসহ আরও চার-পাঁচজন মিলে উজ্জ্বলকে পিটিয়ে হত্যা করে ওই স্থানে লাশ ফেলে চলে যায়। পরেরদিন সকালে যেয়ে পুলিশ উজ্জ্বলের লাশ উদ্ধার করে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ