কোমর পানিতে ধান দুশ্চিন্তায় চাষিরা
রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অতি বৃষ্টি ও শীলা বৃষ্টির কারণে বোরে ধান ঘরে তোলার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। কোন কোন ধান ক্ষেত এখনো কোমর পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে ধান পাকলেও চাষিরা ঘরে তুলতে পারছে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষক। তাই ফলন বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করছেন চাষিরা। ইতোমধ্যে আগাম জাতের যারা ধান কেটেছেন, তারা গত বছরের তুলনায় ফলন অনেক কম পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ফলন বেশী হলেও শীলা বৃষ্টিতে ক্ষেতেই ধান পরে যাওয়ায় ধান কম পাওয়া গেছে বলে জানান চাষিরা। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগ বলেছে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, গত বছর উপজেলায় ১০ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ করা হয়। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন। এ বছর ১১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবারে ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরোধানের চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবছর এখন পর্যন্ত চাল উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা যায়নি।

রোববার উপজেলার বড়বিল, নোহালী, কোলকোন্দসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কিছুদিন আগের শিলাবৃষ্টিতে অনেক জমির ধান শতকরা ৩০ ভাগ মাটিতে ঝরে পড়েছে। এসময় কথা হয়, ক্ষেতে কাজ করা কোলকোন্দ ইউনিয়নের স্কুল পাড়া গ্রামের ধান চাষি মমিনুর ইসলামের সাথে তিনি জানান, আমি এবছর ২ বিঘা জমিতে বোরোধান লাগিয়েছিলাম খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। প্রথম দিকে ধানের ফলন ভালোই হয়েছিল। তবে কিছুদিন আগে শিলাবৃষ্টির কারণে জমির অনেক ধান মাটিতে ঝরে পড়ে। যে জায়গায় বিঘা প্রতি ২০ মণ ধান হবার কথা সে খানে বিঘায় এখন ধান পাব মনে হয় ১৩ থেকে ১৪ মন, বিক্রি করলে বর্তমান বাজার দর পাবো প্রায় ৯ হাজার ৮শ টাকা। তাতে উৎপাদন খরচে উঠবেন না।বড়বিল ইউনিয়নের জমির উদ্দিন (৫৫) জানান, আমার ৩ বিঘা জমির ধান ক্ষেত এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে ধান কাটতে পারছি না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ধানের ফলন ভালো হলেও অতিবৃষ্টি ও শীলা বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ