সারা রাত আম গাছে লুকিয়ে ছিল তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করে
সারা রাত আম গাছে লুকিয়ে ছিল তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করে
শ্রীবরদী থানা প্রতিনিধিঃ
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস দৈনিক নব দেশ বার্তাকে জানান, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে শ্বশুর বাড়ি পুটল গ্রাম থেকে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মিন্টুকে আটক করে পুলিশ। সারা রাত ওই বাড়ির একটি আম গাছে লুকিয়ে থাকেন তিনি। শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর আটক নিহতের স্বামীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুটল গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী মনিরা বেগম, শাশুড়ি শেফালী বেগম ও জ্যাঠা শ্বশুর মাহমুদ গাজীকে কুপিয়ে হত্যা করেন মিন্টু মিয়া।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস দৈনিক নব দেশ বার্তাকে জানান, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে শ্বশুর বাড়ি পুটল গ্রাম থেকে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মিন্টুকে আটক করে পুলিশ। সারা রাত ওই বাড়ির একটি আম গাছে লুকিয়ে থাকেন তিনি। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নিহত মনিরার ছোট বোন দিনারা বেগমের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বাড়ি একই উপজেলার তাঁতীহাটি ইউনিয়নের গ্যাড়ামারা গ্রামে। ওসি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বোরকা পরে দা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালান মিন্টু। এসময় দা দিয়ে সবাইকে কোপাতে থাকে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে পালিয়ে যান তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই স্ত্রী মনিরা বেগমের মৃত্যু হয়। হতাহত অন্যদের বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিলে মারা যান মনিরার শেফালী ও মাহমুদ। পরে আহত বাচ্চুনি বেগম, মনু মিয়া ও শাহাদাত হোসেনকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে ভোরে পুটল গ্রামে শ্বশুর বাড়ির একটি আম গাছ থেকে মিন্টুকে আটক করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা ও একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ তিনজনের মধ্যে একজনের মরদেহ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এবং অপর দুই মরদেহ জামালপুর জেলা হাসপাতালে রয়েছে বলেও জানান ওসি। ঘাতক তার শ্বশুরবাড়িতেই একটি গাছের উপর উঠে লুকিয়ে ছিল বলে জানা গেছে।