“বাড়তি সিট বাড়তি ভোগান্তি” নগরীতে কোম্পানী কে নয়-ছয় বুঝ দিয়ে চলছে গাড়ি
চট্টগ্রাম মহানগর সংবাদদাতাঃ
গাড়ির কোম্পানির সঙ্গে মিল নেই চেসিসের। অননুমোদিত অতিরিক্ত আসন / সিট যুক্ত করে নগরীতে চলাচল করছে অধিকাংশ হিউম্যান হলার ও মিনিবাস-সিটি বাস। এমন অনিয়ম ধরা পড়েছে ১১ দিনব্যাপী গণপরিবহন জরিপের প্রথমদিনে। প্রথমদিনে ৬৭টি হিউম্যান হলারের জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়। নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে গত (সোমবার) থেকে এ জরিপ শুরু হয়েছে। জরিপ কাজ চলবে টানা আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত। গত ২৩ মে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির (আরটিসি) সভায় জরিপের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। আরটিসির তথ্য অনুযায়ী নগরীর ১৮ রুটে ৯৫৯টি হিউম্যান হলার চলাচল করছে। হিউম্যান হলার জরিপ কমিটির আহ্বায়ক নগর ট্রাফিকের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাসির আহমেদ প্রথম দিনে ৬৭ টি হিউম্যান হলারের জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত জরিপ কাজ চলবে। গাড়ির কাগজপত্রের সাথে চেসিস নম্বর কিংবা ইঞ্জিন নম্বর মিল না পাওয়া প্রসঙ্গে ডিসি জানান, ‘সুনির্দিষ্ট ফরমে যানবাহনের সব তথ্য লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। জরিপ শেষে আরটিসি’র চেয়ারম্যান কমিশনার এর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে’। জরিপ কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল জানান, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে জরিপ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আরটিসির সভায়। হিউম্যান হলারে জরিপ চালাতে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ হিউম্যান হলারের কাগজপত্রের সাথে চেসিস নম্বরের মিল নেই। এক গাড়ির নম্বর প্লেট অন্য গাড়িতে লাগানো হয়েছে। গড়মিল থাকা এসব যানবাহন অনুমোদন দেয়া হলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। নগরীতে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলের রুট রয়েছে ৫৫টি। এরমধ্যে বাস-মিনিবাসের ১৬, হিউম্যান হলারের ১৮ ও অটোটেম্পোর রুট ২১টি। আরটিসি তথ্য অনুযায়ী এসব রুটে ২৩৯৭টি যানবাহন চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। রুটগুলোতে বাস্তবে কি পরিমাণ যানবাহন চলাচল করছে, এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচল করছে কিনা, নতুন করে রুট পারমিটের প্রয়োজন রয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে জরিপ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আরটিসির সভায়।

বেশ কয়েকদিন ধরে নগরীর সিইপিজেড-কেইপিজেড সহ বড় বড় গামেন্টর্স শিল্পগুলো সরকারী নিয়ম বহিঃভূত বিআরটিসির দুতলাবাস, সার্ভিসবাস ও মিনিবাস গুলো শ্রমিক পরিবহন করছেন চুক্তিভিত্তিকভাড়াতে। যাহা গণমানুষের চরম কষ্ট হচ্ছে বলে নিয়মিত যাত্রীগণ অভিযোগ করেন। বাস মিনিবাসের জরিপ কাজ সম্পন্ন করতে নগর পুলিশের ট্রাফিকের উত্তর জোনের উপ-কমিশনারকে (ডিসি) আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। একইভাবে ট্রাফিকের দক্ষিণ জোনের ডিসিকে আহ্বায়ক করে ২৩ মে হিউম্যান হলার ও পশ্চিম জোনের ডিসিকে আহ্বায়ক করে অটোটেম্পোর জরিপ কমিটির গঠন করা হয়। জরিপ কমিটি মূলত সরেজমিন পরিদর্শন করে কতগুলো বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার ও অটোটেম্পো রুট ভিত্তিক চলাচল করে কিংবা করে না তার প্রতিবেদন আরটিসির চেয়ারম্যান নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে দাখিল করবেন। এছাড়া অনুমোদিত বিদ্যমান রুটে সিলিং নির্ধারণ এবং প্রয়োজনবোধে রুট সংশোধন, নতুন রুট অনুমোদন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে কোম্পানিভিত্তিক যাত্রী পরিবহন ও শৃঙ্খলা আনয়নে বিদ্যমান রুটে স্টপেজ নির্ধারণের সুপারিশ করবে। এছাড়া ১-১০নং রোডে অনিয়মিত ভাবে কন্ট্রাকভিত্তিতে শ্রমিক পরিবহন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে সিটিবাস ওমিনি বাসে বাড়তি সিট বসিয়ে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে যাতায়াত করলেও প্রকৃতগাড়ীর মালিকরা জানেন না বলে একাদিক গাড়ীর মালিক সূত্রে জানা গেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রির্জাভ ভাড়া নিয়ে সিটির বাইরে গিয়ে নানান সমস্যায় পড়লেও গাড়ীর মালিকদের জানান বলে অভিযোগ রয়েছে, বিষয়গুলো প্রতিনিয়তই হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ