বৈরাগী খালের কচুরিপানা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু
বৈরাগী খালের কচুরিপানা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ শহরের বৈরাগী খালের কচুরিপানা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়েছে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ খালের কচুরীপানা অপসারণের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। জেলার ৭টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মিরা এ কাজটি করছেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে খালটির কচুরিপানা পরিস্কার করা হবে। আজ শনিবার (৩০জুলাই) সকালে শহরের যুগশিখা স্কুলের সামনে খাল পরিস্কারের উদ্বোধন করেন নব নির্বাচিত পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন। এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: রাশেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুন নাহার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহসিন উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম নাজিম, খাদিজা পারভীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা উক্ত কার্য্যকরম ঘুরে দেখেন ও স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ প্রদান করেন।
সূর্য শিশির ফাউন্ডেশন, মানবিক মানব সংঘ, রেড ক্রিসেন্ট, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, বিডি ক্লিন, প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জ, আসপ, রোভার-স্কাউট-এই সাতটি সংগঠনের প্রায় ৩০০ জন সেচ্ছাসেবীসহ পৌরসভার শতাধিক শ্রমিক বৈরাগী খালের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার কচুরিপানা পরিস্কার করবে।
কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম নাজিম বলেন, দীর্ঘদিন কচুরিপানা পরিস্কার না করায় এ খালটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কচুরিপানার কারণে পানি পচে দুর্গন্ধ ও মশা মাছির প্রজনন হচ্ছিল। কচুরিপানা পরিস্কার করার ফলে খালের দুই পাড়ের মানুষের ভোগান্তি কমবে। তারা খালটি ব্যবহার করতে পারবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহসিন উদ্দিন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ৭টি সংগঠনের ২৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও পৌরসভার ৮০ জন শ্রমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটির কচুরিপানা পরিস্কার করছেন। তিনি আরো বলেছেন, এ খালটির কচুরিপানা পরিস্কার করতে ৭ দিনের টার্গেট নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুন নাহার বলেছেন, রোভার, সূর্য শিশির ফাউন্ডেশন, স্বপ্ন ফেরিওয়ালা, মামাস, আসপ, বিডি ক্লিন, রেডক্রিসেটসহ ৭টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও পৌরসভার ৮০ জন শ্রমিক দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানা পরিস্কারে কাজ করছেন। খালটির কচুরিপানা পরিস্কার হলে খালের পানি মানুষের ব্যবহার উপযোগী হবে। মশা মাছির প্রজনন বন্ধ হবে, দুর্গন্ধ ছাড়াবে না। খাল পাড়ে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ নির্মল বাতাস ও পরিবেশ পাবেন। পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন বলেছেন, পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রথম থেকেই পৌর এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছনের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। এর অংশ হিসেবে শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহমান বৈরাগী খালের কচুরিপানা পরিস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এতে পৌরবাসীর স্বাস্থ্য ভাল ও সুস্থ থাকবে। নির্মল পরিবেশ ও বাতাস পাবেন পৌরবাসী।