বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মোস্তফা ১১ দিনে ৩১৭ কিলোমিটার হেঁটে

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

বঙ্গবন্ধু প্রেমী মো: মোস্তফা ওরফে মুস্তু। বয়স প্রায় ৭১ বছর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার প্রতিবাদস্বরূপ ২৫ বছর জুতা পরিধান করেননি। এমনকি খালি পায়ে বিয়েও করেছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসায় ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধ মো. মোস্তফা ১১ দিনে হেঁটেছেন ৩১৭ কিলোমিটার। উদ্দেশ্য ছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উপজেলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। পূরণও হয়ছে তার ইচ্ছা।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছে দৈনিক নব দেশ বার্তার প্রতিবেদকের কাছে আগেব আর অনুভূতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন তিনি। মো: মোস্তফা মংমনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়া ছেলে। তার সাথে ছিলেন ছেলে মো: মনিরুজ্জামান।

শুক্রবার (১৯আগস্ট) বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সামাধিতে গিয়ে জানাগেছে, জা‌তির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় শোকের মাসে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে গত ৮ আগস্ট বিকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে পায়ে হেঁটে রওনাহন মো. মোস্তফা।

ছেলে মো: মনিরুরজ্জামানকে সাথে নিয়ে ১১ দিনের মাথায় শুক্রবার (১৯আগষ্ট) বিকালে জা‌তির পিতার সমাধিতে পৌঁছান তিনি।

এরপর কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমা‌ধি সৌধ বেদির সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার প্রতিবাদস্বরূপ ২৫ বছর জুতা পরিধান করেননি। এমনকি খালি পায়ে বিয়েও করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় ঘোষিত হলে ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ভাষা সৈনিক মরহুম এম শামছুল হক তাকে জুতা উপহার দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি জুতা পরিধান শুরু করেছিলেন।

মো: মোস্তফা আরো বলেন, মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, এ দেশে আমরা বাস করতে পারতাম না। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসতে পেরে আমার মনে তৃপ্তি এসেছে। আজকে শত শত লোক বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতেছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা দেশের ব্যপক উন্নয়ন করছে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি শেখ হাসিনাকে যেন দীর্ঘায়ু করেন।

বঙ্গবন্ধু প্রেমী মো: মোস্তফার ছেলে মো: মনিরুজ্জামান বলেন, আমার বাবার আশা পূরণের জন্য তাকে পায়ে হেটে জাতির জনকের সমাধিতে আসার মত দেই। ময়মনসিংহ সেথে পায়ে হেটে ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছাই। বাবাকে নিয়ে এখানে আসতে পেরে আমি খুব খুশি।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ