দুদকের হাতে ঘুষসহ গ্রেফতার সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

ফটিকছড়ি উপজেলা প্রতিনিধিঃ

আলোচিত ফটিকছড়ির সেই শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদরকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অব্যাহতি দিল বিভাগীয় মামলা থেকে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত আদেশ নামায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে বিভাগীয় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি ও সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের খবরে ফটিকছড়ির শিক্ষক সমাজে মিশ্র প্রতিকৃয়া লক্ষ্য করা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ উপজেলার উত্তর পাইন্দং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তারের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছিলেন আজিমেল কদর।

অন্য স্কুলে বদলির আশ্বাস দিয়ে এ টাকা নেয়া হচ্ছিল। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তার কার্যালয় থেকে হাতে নাতে ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ তাকে আটক করা হয়।

পরে দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

তখন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শৃংখলা ভঙ্গের মামলাও হয়। মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্তের পর ১৩ সেপ্টেম্বর এ প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়।

অপর দিকে বিভাগীয় মামলা থেকে তাকে দুদকের হাতে ঘুষের টাকাসহ আটক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদরের অব্যাহতি ও সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের খবরে ফটিকছড়ির শিক্ষক সমাজে মিশ্র প্রতিকৃয়া লক্ষ্য করা গেছে।

ফটিকছড়ি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবরটি জানার পর থেকে শিক্ষকরা ফোন করে খবর নিচ্ছেন, তারা উদ্বিঘ্ন। হাতে নাতে ঘুষের টাকা সহ গ্রেফতার হওয়া এমন কর্তা আবার শিক্ষা অফিসে ফিরে আসবে? সেটি তারা মেনে নিতে পারছেন না।

দুদকের মামলাটি এখন স্বাক্ষী গ্রহণের পর্যাযে রয়েছে। সম্প্রতি সহকারী শিক্ষিকা তসলিমা আদালতে স্বাক্ষীও দেন। সেই শিক্ষিকা শারিরীক অসুস্থতার জন্য এখন ছুটিতে আছেন।

তিনি বলেন, ওই সময় আমি প্রেগনেট ছিলাম। শারীরীক কসরত কমাতে বদলী হতে চাইছিলাম কাছের কোন বিদ্যালয়ে। তখন তিনি আমার কাছে ঘুষ চান। আমি যখন শিক্ষা অফিসারকে বদলীর জন্য ঘুষের ১০হাজার টাকা দিচ্ছিলাম, তখন মনে হলো আমি আমার বিবেককে বিক্রি করে দিলাম।

ওই সময় হটাৎ দুদক কর্মকর্তা এসে তাকে গ্রেফতার করেন। এই কর্তার অব্যাহতির আদেশ অবশ্যই শিক্ষক সমাজে বিরুপ প্রভাব ফেলবে। এদের একেবারে শাস্তি হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৭ সালে তৎকালীন শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান রহিমা বেগম নামে এক শিক্ষিকার কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার সময় ঘুষের টাকাসহ দুদকের হাতে আটক হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ