চট্টগ্রাম নগরীর সিইপিজেড সংঘর্ষে ১২ জন আহত

হোসেন বাবলা,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম নগরীর সিইপিজেড এলাকায় দুটি শিল্প কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন ইপিজেড শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পরে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছেন থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সিইপিজেড এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে ২/৩ ঘন্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলছিল বলে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানান। পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে। দাবিকারদের দেখাদেখি একই দাবিতে অন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকরাও আন্দোলন শুরু করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। দু’দিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়েছিল। শনিবার ফের কারখানাটি চালু হয়। অন্যদিকে সকালে মেরিনকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সে সময় তারা ঢিল ছুড়ে সংলগ্ন জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙ্গলে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়।

এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, “এটি বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নয়। দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। দুপুরের আগেই আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি, আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবে এতে কারো উস্কানি কিংবা খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত নিরাপম ভাবে পর্যালোচনা করে দেখছি।

এদিকে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে গুটিকয়েক ফ্যাসিস্টবাদী শ্রমিকনেতার ইন্ধনে সামান্য বিষয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিরোধ ছড়িয়ে দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বেপজা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করে কঠোর আইনী প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ